বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি ঘোলাটে কিভাবে, তথ্য আছে: নওফেল

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করার পেছনে ইন্ধন রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুর নওফেল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 12:40 PM
Updated : 9 Nov 2019, 01:45 PM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ শুক্রবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের কাছে জমা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপমন্ত্রী বলেন, “তদন্তের আবেদনের আগে ঢোল বাজিয়ে, কাসা পিটিয়ে যে আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার অরাজকতা হয়েছে সেটার জবাবদিহিতা আগে আমরা চাই। তদন্ত তো হবেই। অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা পরলেই তদন্ত হবে। তবে তদন্ত তাদের বিরুদ্ধেও হওয়া উচিত যারা তদন্তের আবেদনের আগেই পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে।”

নওফেল বলেন, “আমাদের কাছে অনেক তথ্য আছে। রাষ্ট্র প্রশাসন এখন অনেক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তদন্ত শুরু হওয়ার আগেও অনেক কিছু আমাদের কাছে থাকে, অনেক কিছু আমরা জানতে পারি। সবার সম্মানের কথা বিবেচনা করে অনেক সময় অনেক সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র, প্রশাসন নেয় না এবং সকলের আথিক অবস্থান, কোথা থেকে কি হচ্ছে, কারা ইন্ধন দিচ্ছে...কোন সংঘবদ্ধ শক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোথা থেকে আথিক অনুদান এনে আর আর্থিক সংস্থানের মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে আমরা সেটা কিন্তু জানি।”

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়লে গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের পরও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কনসার্ট আয়োজনের অর্থ কোথায় পেল তা নিয়েও প্রশ্ন রাখেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

“জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনা তদন্ত করবার জন্য অভিযোগ জমা দেওয়ার আগেই কনসার্ট আয়োজনের অর্থ কোথা থেকে আসলো সেটা আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই “

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেরিতে অভিযোগ জমা দেওয়ারও সমালোচনা করেন তিনি।

নওফেল বলেন, “তদন্ত করবার জন্য আমরা বারংবার অভিযোগ আহ্বান করেছি। কিন্তু অভিযোগ না এনে ঘণ্টাখানেকের দূরত্বের ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা আসতে যদি চারদিন সময় লাগে তাহলে দূরভিসন্ধির সন্দেহ তো আসতেই পারে। কি তাদের অভিযোগের ভিত্তি যে চারদিন লাগল অভিযোগ নিয়ে আসতে?”