সবার লাভের জন্যই দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
Published : 03 Nov 2019, 10:30 PM
রোববার জাতীয় জাদুঘরে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ’ আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সম্মেলন-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যদি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকে, তাহলে কোনো সমাধান আসবে না।
“আমরা চাই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিবিড় সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।… উভয় দেশের লাভের জন্যই আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।”
সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার পর এবার রোহিঙ্গা সঙ্কটে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটি ‘ভালো যাচ্ছে না’ মন্তব্য করে তাজুল ইসলাম বলেন, “এর সমাধানেও কাজ করছে সরকার।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। তিনি শুধু বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা বলেননি, তিনি বলেছেন গোটা বিশ্বের মানুষের মুক্তির কথা। দেশ-কাল-সীমারেখা পেরিয়ে সারা বিশ্বের মুক্তির কথা, কথা বলার অধিকার, সামগ্রিক স্বাধীনতা উপভোগ করার কথা বলেছেন।”
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার রেবতি মোহন দাস ও বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলাদেশের কয়েকজন বক্তা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন। এ প্রেক্ষিতে আশীষ কুমার সাহা বলেন, তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
“দুই দেশের মানুষ যদি সব সীমাবদ্ধতা ভুলে সম্প্রীতির ঝাণ্ডাতলে একসঙ্গে শামিল হলে, দুই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড হবে স্বচ্ছ।”
সম্প্রীতি বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ে গুরুত্ব আরোপ করেন রেবতি মোহন দাস। দুই দেশের কবি-সাহিত্যিকদের রচনাগুলো যৌথভাবে প্রকাশ করার পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বাড়ানো যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।