আবরার হত্যা: তাবাখখারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দুই দফা রিমান্ডের পর এবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

রোববার ঢাকার একজন মহানগর হাকিমের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের সপ্তদশ ব্যাচের ছাত্র তাবাখখারের নাম তড়িৎ কৌশলের ছাত্র আবরারের বাবার করা মামলায় আসামির তালিকায় ছিল।

গত ৬ অক্টোবর শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে আবরারের মৃত্যুর পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাবাখখারসহ আটজনকে।

গত ৮ অক্টোবর তাকে প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে ১৩ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

এরপর ১৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান আসামি তাবাখখারকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন। তার শুনানি নিয়ে আদালত পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেয়।

রিমান্ড শেষে রোববার তাবাখখারকে আদালতে নিয়ে যান তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

আলোচিত এই মামলায় এনিয়ে সাতজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিলেন। অন্য ছয়জন হলেন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, মেফতাহুল ইসলাম, মুজাহিদুল ও মনিরুজ্জামান মনির।

এই মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, এর মধ্যে ১৬ জন এজাহারভুক্ত আসামি।

রোববার তাবাখখারের পাশাপাশি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা এবং সামছুল আরেফিন রাফাতকেও রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তাদের দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হাকিম সাদবীর ইয়াছির।