প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনুমোদন লাগবে

প্রতিবন্ধীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে একটি নীতিমালার খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2019, 02:24 PM
Updated : 19 August 2019, 02:24 PM

মানহীন ও অনুমোদন ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে না দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নীতিমালায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমাবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া নীতিমালাটি অনুমোদিত হয়।

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন,“নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সম্পর্কিত সমন্বিত/বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’ এবং ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) ব্যতীত প্রতিবন্ধি সম্পর্কিত সমন্বিত/বিশেষ শিক্ষা নীতিমাল ২০১৯’-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

“এখানে দুটি নীতিমালা, প্রচলিত যে নীতিমালাগুলো রয়েছে- শিক্ষা নীতি থেকে শুরু করে অন্যান্য নীতির সাথে সমন্বয় করে এ নীতিমালাটি করা হয়েছে।”

এ নীতিমালার আওতায় প্রতিবন্ধীদের আলাদা স্কুল করা যাবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র, মানহীন ও অনুমোদন ছাড়া বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার একটি অনুশাসন দিয়ে বলছিল, আপনার এ জাতীয় স্কুল করবেন না। এ প্রেক্ষিতেই এ নীতিমালাটা করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন যেমন-তেমনভাবে করতে পারবে না।”

তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শর্তগুলো কী হবে, বেতন স্কেল কী হবে, এ ধরনের তার একটি নীতিমালা থাকবে। অনুমতি দেওয়ার জন্য আলাদা কমিটি থাকবে।

মুলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য এ নীতিমালা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেবে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ কমিটির প্রধান হবেন জেলাপ্রশাসক। এগুলো সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রপার্টি। তবে কারিকুলাম ফলো করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।” 

নীতিমালায় একটা ব্যবস্থাপনা কমিটি করার কথা বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে স্থাপিত বিদ্যালয়ের জন্য জেলা প্রশাসক বা প্রতিনিধি নিয়ে ১৩ জনের একটা কমিটি আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে ১৩ জনের একটা কমিটি থাকবে। এছাড়া সেনা এলাকায় সংশ্লিষ্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল বা সমমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা সভাপতি করে ১৩ জনের কমিটি হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কেউ পেশাগত অসাদাচরণ করলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শাস্তির প্রয়োগের জন্য আপিলের বিধানও রাখা হয়েছে। বেতন-ভাতা তথা এমপিও বন্ধ করে দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”

তবে বর্তমানে এ ধরনের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো যদি এ নীতিমালার ব্যত্যয় না ঘটায়, তাহলে সেগুলো চলতে বাধা থাকবে না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। 

কত জন শিক্ষার্থীর জন্য কতজন শিক্ষক রেখে এ ধরনের স্কুল প্রতিষ্ঠা করা যাবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন,“৫ জন্য শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া ন্যূনতম ৭৫ জন শিক্ষার্থী থাকলে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হবে। অটিজমদের জন্য টেককেয়ার বেশি করা লাগে তাই শিক্ষকও বেশি নিয়োগ দিতে হবে।”