শনিবার বিকেলে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতাল থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তানহা নামে ৭ বছরের মেয়েটি মারা যায় বলে তার নানী সালেহা বেগম জানান।
তানহার বাবার নাম মিলন মোল্লা। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানায়। তবে তানহা ঢাকার জুরাইনের মুরাদপুর হাই স্কুল রোডের একটি বাসায় নানীর সঙ্গে থাকত। কদমতলীর কবি নজরুল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটি।
সালেহা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তানহার জ্বর আসে। পরদিন সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসক তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে বলেন। পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়ে ফিরে পরদিন ঢাকা মেডিকেলে যান তারা।
“বিসুদবার হাসপাতালে গেলে পরীক্ষায় হের ডেঙ্গু ধরা পড়ার কথা জানা যায়। আমি ডাক্তারগোরে অনেক বলছি তানহারে ভর্তি করাইতে। কিন্তু হেরা ভর্তি না কইরা বাসায় পাডাইয়া দেয়।”
সালেহা বেগম জানান, শুক্রবার তানহার জ্বর সেরে গেলেও শনিবার অবস্থা খারাপ হয়। তখন তাকে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে ভর্তি করা যায়নি।
“আদ-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তাররা কয়, হের অবস্থা খুব খারাপ। তারে ওই হাসপাতালে ভর্তি করন যাইত না, তারে য্যান ঢাকা মেডিকেল বা অন্য কোনো হাসপাতালে নিয়া যাই।
“আমরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া কইরা মিটফোর্ড হাসপাতালে রওনা দেই। কিন্তু হেই হাসপাতালে গেলে ডাক্তার কয় তানহা রাস্তাত অই মইরা গ্যাছে।”
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকেটে বলা হয়েছে, তানহাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তানহার ডেঙ্গু পরীক্ষায় এনএস১ পজিটিভ দেখা যায়।
মারা যাওয়ার পর শনিবারই তানহাকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে তার নানী জানিয়েছেন।
আরও খবর