মানুষের আস্থার মর্যাদা আমি দেব: প্রধানমন্ত্রী

ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে এবং বাংলাদেশ যেন আরও উন্নত হয়, ঈদের দিনে সেই প্রত্যাশার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2019, 08:58 AM
Updated : 12 August 2019, 11:41 AM

আওয়ামী লীগের ওপর ‘আস্থা রাখায়’ দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন বলেই তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। তাদের এই আস্থা বিশ্বাসের মর্যাদা আমি দেব এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”

সোমবার কোরবানি ঈদের সকালে গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঈদ একটা ত্যাগের দৃষ্টান্ত নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই ঈদ যেন মানুষকেও মানুষের কল্যাণে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য আরও উৎসাহিত করে এবং দেশ যেন আরও উন্নত হয়। ঈদের দিনে আমি সেটাই কামনা করি।”

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “শুধু আমার দেশের মানুষ না। সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর প্রতি আমি ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের সকালে গণভবনে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।

মেয়ে সায়মা হোসেন ওয়াজেদকে নিয়ে বেলা ১১টার দিকে গণভবনের মাঠে তৈরি প্যান্ডেলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত নেতাকর্মীরা এ সময় ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিলে শেখ হাসিনা হাত উঁচু করে তাদের শুভেচ্ছা জানান।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।   

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, “অগাস্ট মাস আমাদের জন্য একটা কষ্ট, ব্যথা, বেদনা নিয়ে আসে। আপনারা যারা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে আছেন, তারাই শুধু বুঝতে পারবেন আমাদের মনের কষ্ট।

“এই কষ্ট, দুঃখ, ব্যথা, বেদনা সব কিছু বুকে ধারণ করেও জীবনের সব কিছু ত্যাগ করে উৎসর্গ করেছি নিজেকে বাংলার মানুষের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার জন্য।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। শত প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও আমরা বাংলাদেশকে আজ সারাবিশ্বের কাছে একটা মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাটা যেন অব্যাহত থাকে।”  

দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, বিচারপতি, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য, ব্যবসায়ী, এতিম-দুস্থ, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন।

গণভবনে আসা অতিথিদের মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।