কলাবাগান থানার ওসি আফম আসুদুজ্জামান বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় মারা যান।
গত ৫ অগাস্ট ভোরের দিকে কাঁঠালবাগানের বক্স-কালভার্ট রোডের চারতলা একটি ভবনের দোতলায় আগুন লাগলে লিটন (৪২), তার স্ত্রী মারিয়া ফেরদৌস টুম্পা (২৭) এবং তাদের দুই সন্তান লাইবা (৮) ও লিবান (৯ মাস) দগ্ধ হন।
প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে লিটনের শরীরের ৪৬ শতাংশ, টুম্পার ২৫ শতাংশ, লাইবার ১৭ শতাংশ এবং লিবানের ৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
লিটনের বন্ধু মনিরুল ইসলাম বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চারতলা ওই ভবনটি লিটনের পারিবারিক সম্পত্তি। ভবনের দোতলা ও তিনতলা মিলিয়ে লিটনরা থাকতেন।
মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রাহান আশরাফ সেদিন জানিয়েছিলেন, ওই ভবনের দোতলার দুটি কক্ষ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে একটি কক্ষে এসি ছিল, সেটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
“প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এসিতে আগুন ধরে যায়; সেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা দগ্ধ হন।”
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, লিটনের স্ত্রী ও দুই সন্তান এখনও চিকিৎসাধীন।