মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের পর কয়েকদিন ঢাকার বারডেম হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে ছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের স্বামী সুপ্রিয় চক্রবর্তীর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
সুলতানা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সুপ্রিয় চক্রবর্তী টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে দেহ দান করে গিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মরদহ হস্তান্তর হবে।
সুলতানা কামাল ও সুপ্রিয় চক্রবর্তী দম্পতির মেয়ে দিয়া চক্রবর্তী ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফে কাজ করেন।
সুপ্রিয় চক্রবর্তীর বাড়ি সিলেটে, শহরের লামাবাজারে তার বাসা। তিনি সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনও আইনজীবী সুপ্রিয়র মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
তিনি শোকবার্তায় বলেন, “সুপ্রিয় চক্রবর্তীর মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। সুপ্রিয় চক্রবর্তীর চলে যাওয়া বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হল, তা অপূরণীয়।”
সিলেটের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে দক্ষ সংগঠক হিসেবে সুপ্রিয়কে স্মরণ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও।
সুপ্রিয় সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, সিলেটের সহ-সভাপতি দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এছাড়া সিলেট ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
আইন পেশার পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করতেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী।