নাইকো: খালেদার অনুপস্থিতিতে পিছিয়েছে শুনানি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় নাইকো দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে; শুনানির নতুন তারিখ আগামী ৩০ মে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2019, 08:27 AM
Updated : 19 May 2019, 08:27 AM

রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের নবনির্মিত  দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে শুনানির দিন ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

শুনানি নিয়ে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ দেন।

এর আগে মামলাটির বিচারকাজ পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে চলত। খালেদা জিয়ার নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর বিচার কেরানীগঞ্জের কারাভবনের অস্থায়ী আদালতে চালানোর বিষয়ে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন এখন চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রয়েছেন।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকা খালেদাকে গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া রিট আবেদন করলে ওই বছরের ৯ জুলাই হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে। পরে ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাই কোর্ট রুল খারিজ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করে।