ইয়াংগনে দুর্ঘটনায় বিমানের উড়োজাহাজ

মিয়ানমারের ইয়াংগন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ উড়োজাহাজ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2019, 02:17 PM
Updated : 9 May 2019, 06:50 AM

বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনার পর ১৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৩৫ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে ইয়াংগন যাচ্ছিল বিমানের ফ্লাইট বিজি ০৬০।

সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর দুই ঘণ্টার বেশি সময় ইয়াংগন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকে।

আহতদের মধ্যে ওই বিমানের পাইলট শামীম নজরুল ও ফার্স্ট অফিসার কবিরুলও রয়েছেন বলে জানান মহিবুল হক।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) শাকিল মেরাজ জানান,  ফ্লাইট বিজি ০৬০ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে। বিমানে একটি শিশুসহ মোট ২৯ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ও দুজন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

“তাদের কারও জীবনশঙ্কা নেই।”

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে ফিরতি ফ্লাইটের ১৮ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের একটি বিশেষে ফ্লাইট বিজি ১০৬১ ভোর ৬টায় ঢাকায় আসবে।

 

মিয়ানমারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ছবিতে কানাডার কোম্পানি বম্বার্ডিয়ারের তৈরি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটিকে ভাঙা ডানা নিয়ে রানওয়ের পাশে ঘাসের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির ফিউজিলাজ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেছে, তলাও ফেটে গেছে। তবে দুর্ঘটনার পর ওই বিমানে আগুন ধরেনি।

মিয়ানমারে বিমানের ম্যানেজার মীর আক্তারুজ্জামান বলেন, উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় আবহাওয়া ছিল খুবই খারাপ, ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। আরোহীদের মধ্যে সবাই কমবেশি ব্যথা পেয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বলেন, যাত্রীদের মধ্যে দশজনকে বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৯ জনকে নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের কাছে নর্থ ওকালাপা হাসপাতালে।