দিবসটি উদযাপনে এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত নাগরিকদের সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করতে ২০১৩ সালে ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
আনিসুল হক জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইন সেবাদান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার দিবসটি পালন করা হবে।
২৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই দিবসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই দিন দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ধানমণ্ডি রবীন্দ্র সরোবরের উন্মুক্ত মঞ্চ ও চত্বরে লিগ্যাল এইড মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে সভা, সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রে আইন সহায়তা বিষয়ক ক্রোড়পত্র ও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে এবং রেডিও-টেলিভিশনে হবে আইন সহায়তা সংক্রান্ত টকশো ও মুক্ত আলোচনা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী বাৎসরিক আয় যাদের এক লাখ টাকা তারা বিনামূল্যে সরকারের কাছ থেকে আইনগত সহায়তা পান।
মানুষের আয় বেড়েছে জানিয়ে এই সেবা পেতে বাৎসরিক আয়ের সীমা বাড়ানো হবে কি না, তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রয়োজনে নিশ্চিয়ই তা করা হবে।
“সমাজের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আইনের সংশোধন করতে হলে সংসদে যেতে হয়, এজন্য বিষয়টি বিধিমালায় রাখা হয়েছে, মন্ত্রণালয় বিধিমালা সংশোধন করতে পারবে। প্রয়োজনে নিশ্চিয়ই সংশোধিত হবে।”