শাহবাগে ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি থেকে আটকের অভিযোগ

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে কয়েকজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2019, 02:22 PM
Updated : 20 April 2019, 07:22 PM

সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের সমাবেশ শুরুর আগেই পরিষদের সাত নেতাকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

যাদেরকে থানায় নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন পরিষদের তিন যুগ্ম-আহ্বায়ক হারুন-অর রশিদ, আনিসুল হক, মো. শামীম রেজা। এছাড়াও বিনয় বিশ্বাস, আরিফ হোসেন, মনসুর আলী এবং আরিফুল ইসলাম নামের আরও চারজনকেও থানায় নেওয়া হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।

এই বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাবেশের বিষয়ে তারা পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেননি। হঠাৎ করেই তারা রাস্তা অবরোধ করতে এসেছেন।

“জনগণের ভোগান্তির কথা ভেবেই কর্মসূচি থেকে কয়েকজনকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রেস ক্লাবে কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ হয়েছে।”

সাতজন নয়, দুই-তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “প্রেস ক্লাবে যেতে চাইলেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে।”

এদিকে চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছর করা ও আটকদের মুক্তির দাবিতে বিকাল ৫টার পর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

সেখানে পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মো. ইউসুফ জামিল বলেন, “আমাদের পূর্বঘোশেতত কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের দূর-দুরান্ত থেকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস করা শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছিল।

“কিন্তু দুপুর ৩টার দিকে পুলিশ সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির তিনজন যুগ্ন আহ্বায়কসহ আরও চারজনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটক করে। এখনও পর্যন্ত তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য পুলিশ তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।”

পরে রাত ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে তাদের উঠিয়ে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন এই আন্দোলনকারীরা।