সুবর্ণচরে ধর্ষণের আসামি আ. লীগ নেতা রুহুলের জামিন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2019, 01:59 PM
Updated : 21 March 2019, 02:00 PM

রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ধর্ষণের আসামি হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। তিনি চর জুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

গত সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান রুহুল আমিন।

গত ৩০ ডিসেম্বর সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গোপাঙ্গরা’ স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ওই নারীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ এসেছে। ভোটের পর রাতে এই ধর্ষণকাণ্ডে ব্যাপক আলোচনা ওঠে দেশজুড়ে।

রুহুলকে জামিন দিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। আগামী ২৫ মার্চ চেম্বার আদালেত তার শুনানি হতে পারে।

কোন যুক্তিতে আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেছেন যে, মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) রুহুল আমিনের নাম নাই। তাছাড়া মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। এসব বিষয় তুলে ধরে জামিন চাওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আসলে আসামির আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করেছেন। জামিন আবেদনে উল্লেখ আছে এনএক্স-১৭ নম্বর কোর্টের কথা। অর্থাৎ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য ফাইল হয়েছে। ফলে আবেদনটির অনুলিপি গেছে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে।

“যেদিন জামিন হয় সেদিন আসলে আমরা বুঝতেই পারিনি, কার জামিন হয়েছে।”

আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আশেক-ই-রসুল।

রুহুল আমিন

হাই কোর্ট আসামিকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি রুলও জারি করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় অভিযুক্ত রুহুল আমিনের জামিন কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে।

আলোচিত এই মামলায় রুহুল আমিনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই গৃহবধূর স্বামীর করা এই মামলার এজাহারে মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছিল। রুহুল আমিনকে আসামি করতে না পারায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ওই নারী। পরে রুহুল আমিনকেও আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।