ব্যারিস্টার শওকত আলীও পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মরহুম ব্যারিস্টার শওকত আলী খানকেও এবারের স্বাধীনতা ‍পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2019, 11:04 AM
Updated : 12 March 2019, 11:17 AM

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতাকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ শ্রেণিতে (মরোণত্তর) এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম জানিয়েছেন।

শওকত আলীকে নিয়ে এবার ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে।

১৯৫৭ সালে আইন পেশা শুরু করা শওকত আলী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন।

১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলের নাগপুর-মির্জাপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুক্তযোদ্ধা শওকত । ২০০৬ সালের ২৯ জুন মারা যান তিনি।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ শ্রেণিতে এবার শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, শহীদ এটিএম জাফর আলম, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকেও মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।

চিকিৎসায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজসেবা/জনসেবায় অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন।

সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক হাসিনা খাঁনকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শ্রেণিতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারজয়ী প্রত্যেকে পেয়েছেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, তিন লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র।