এই ১২ জনের সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে। তাদের মধ্যে চারজন মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী এবং শহীদ এটিএম জাফর আলমকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকেও মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ শ্রেণিতে এ পুরস্কারের জন্য ডা. কাজী মিসবাহুন নাহারের নাম ঘোষণা করেছে সরকার।
চিকিৎসায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজসেবা/জনসেবা শ্রেণিতে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন।
সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক হাসিনা খাঁনকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শ্রেণিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারজয়ী প্রত্যেকে পেয়েছেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, তিন লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র।