শনিবার রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের দোয়েল চত্বর এলাকায় এক পুলিশ কনস্টেবল ‘বন্দুকের বাট’ দিয়ে তাদের আঘাত করেন এবং অপর একজন সেই ঘটনার ভিডিও করছিলেন বলে আহত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
এ ঘটনায় সাইফুল্লাহ ও মামুন নামের ওই দুই কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে এই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ সদস্যের মারধরে আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা, গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কামরুল হাসান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে খাজা ইরফানুল হক। তারা সবাই শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র।
ঘটনার বর্ণনায় জুয়েল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি নীলক্ষেত থেকে বই কিনে দোয়েল চত্বর হয়ে হলে যাচ্ছিলাম। সেখানে এক ফুচকার দোকানের আবর্জনা রাস্তায় ফেলছিল বলে আমি প্রতিবাদ জানাই। এরপর ফুচকাওয়ালার সাথে এ নিয়ে আমার কথা কাটাকাটি হয়।
এ খবর শহীদুল্লাহ হলে জানাজানি হলে কয়েকশ শিক্ষার্থী দোয়েল চত্বরে এসে অবস্থান নেন। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ সংগঠনটির নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাত ১টার দিকে শাহবাগ থানায় আহত তিন শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগ নেতাদের সামনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ওসি আবুল হাসান।