বিপিসির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ৫৭ কোটি টাকা দুই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ পেয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 05:15 PM
Updated : 17 Feb 2019, 05:15 PM

বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহেদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানিয়েছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় নিয়মিত অনুসন্ধানে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহেদের বিরুদ্ধে ‘পারস্পরিক যোগসাজশে’ কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন করে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘পিরামিড এক্সিম লিমিটেড’ ও ‘গুডউইন’ নামের কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা ও উত্তোলন করেছেন বলে দুদকে অভিযোগ আসে।

এরপর গত ২৮ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান ও মোহাম্মাদ মাহমুদুর রহমানের একটি দল সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডে ওই দুই কোম্পানির অ্যাকাউন্টগুলোতে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে।

এতে মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রীর ‘পিরামিড এক্সিম লিমিটেড’ কোম্পানির নামে গত তিন বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে ৪৩ কোটি টাকা এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদের ব্যক্তি মালিকানাধীন গুডউইন কোম্পানির নামে গত তিন বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা জমা এবং উত্তোলনের ‘প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার’ কথা দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত হিসেবে স্থানান্তরের সুযোগ নেই। এ দুর্নীতির অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই দুদক আইনি ব্যবস্থা নেবে।"