হিযবুত নেতাদের রায় সপ্তমবারের মত পেছালো

সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়ার নতুন আবেদনে সপ্তমবারের মত পেছানো হল হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার রায়।

বুধবার রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে রাষ্ট্রপক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাসহ সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করে। ওই আবেদন মঞ্জুর করে পুনরায় সাক্ষ্য শুরুর জন্য ১২ মার্চ দিন ঠিক করে দেন ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান।

অভিযোগপত্রের ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যের পর এ মামলা রায়ের পর্যায়ে এসেছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি, তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় দেওয়া হোক।”

এই সাক্ষীদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও জব্দ তালিকার সাক্ষী ও পুলিশ রয়েছে বলে জানান তিনি।

আইনজীবী জাহাঙ্গীর বলেন, “এই মামলায় দুইজন তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। প্রথমজনের সাক্ষ্য নেওয়া হলেও চূড়ান্ত তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণে এই আবেদন জানানো হয়েছে।”

রায় ঘোষণার ছয়টি তারিখ পার হলেও সে সময় এই আবেদন করা হয়নি কেন, এ প্রশ্নে নিরুত্তর থাকেন এই আইনজীবী।

রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে এর আগে ১৫ জানুয়ারি ষষ্ঠবার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার আগে ২০ ডিসেম্বরও একই কারণে রায় পিছিয়ে দিয়েছিলেন বিচারক। তার আগে আরও চারবার রায়ের তারিখ পেছানো হয়।

রাষ্ট্রবিরোধী উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার এ সংগঠনের কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অর্ধশতাধিক মামলা হয় ঢাকায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের সামনে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার ও লিফলেট বিলি করার সময় হিযবুত সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান রাজিব ও তৌহিদুল আলমকে পেট্রোল বোমাসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহম্মেদের নির্দেশেই তারা সেখানে গিয়েছিল।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের সঙ্গে আরও দুই জনকে যোগ করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, আবু ইউসুফ আলী ও তৌহিদুল আলম।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও সাক্ষী হাজিরে রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতায় বিচারকাজে গতিহীনতা নিয়ে অভিযোগ ছিল সংশ্লিষ্টদের।

আরো খবর-

ষষ্ঠবারের মতো পেছাল মহিউদ্দিনসহ হিযবুত নেতাদের রায়

হিযবুত: মামলা হয়, এগোয় না  

হিযবুত নেতা মহিউদ্দিনের বিচার শুরু  

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হিযবুতের ৬ জনের রায় রোববার  

হিযবুতের মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে