ভারতীয় আবহওয়া দপ্তর বলছে, ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঝড় ধীরে সুস্থে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। তবে ফেথাই বাংলাদেশের দিকে আসার তেমন কোনো আশঙ্কা আবহাওয়াবিদরা দেখছেন না।
জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার এবং ভারতীয় আবহওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সঠিক হলে ‘ফেথাই’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার বিকাল নাগাদ কাকিনাদা এলাকা দিয়ে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
শুক্লপক্ষের মাঝামাঝি অবস্থায় আবহাওয়ার মতিগতি আরও শক্তি সংগ্রহের জন্য অনুকূল না হওয়ায় উপূকলে আঘাত হানার আগে খানিকটা শক্তি হারাতে পারে ফেথাই। তাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ফেথাই নেমে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের কাতারে।
তখনও বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস রোববার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ও নভেম্বর ‘গজ’ – এর পর গত সপ্তাহে আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরে এসে গত শনিবার ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে তখন এ ঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘PHETHAI’, যা প্রস্তাব করেছিল থাইল্যান্ড। স্থানীয় ভাষায় রত্নপাথর জিরকনকে ফেথাই বলা হয়।