শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শিকদার মকবুল হক বলেন, “ভোট যখন গণনা হয়, সেখানে এজেন্ট বা পর্যবেক্ষক না থাকলে ফলাফল পাল্টে দেওয়াটা খুব সহজ হবে।
“এ নজির আমরা এর আগে দেখেছি। রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারের জন্য রেজাল্ট পরিবর্তনটা সহজ হয়ে যাবে।”
এজেন্ট, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ভোট গণনার আহ্বান জানান তিনি।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আয়োজিত নির্বাচক পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ট যেন ভোট গণনায় অংশ নিতে না পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এজেন্টরা যেন ভোটের কোনো সামগ্রীতে হাত দিতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক হতে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের বলেছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব।
পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশ্যে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেছিলেন, পর্যবেক্ষকরা কাউকে কিছু বলতে পারবেন না, গণমাধ্যমে কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না, রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিচারপতি মকবুল হক বলেন, “আমি একটু শঙ্কিত- নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন পর্যবেক্ষকরা স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে থাকবেন, তারা শুধু পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনো কিছু বলতে পারবেন না, মিডিয়ার সামনে কিছু বলতে পারবেন না।
“যদি কথা বলা না যায়, কোথাও না যাওয়া যায়, তাহলে এই পর্যবেক্ষণ কোন কাজে আসবে? এটি মিডিয়ায় শুনেছি, এর সংশোধনও হতে পারে।”
অনুষ্ঠানে ইলিকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, “১৫ হাজার পর্যবেক্ষক যদি বিক্ষিপ্তভাবে মিডিয়ার সাথে কথা বলেন, তাহলে আপনারা রিপোর্টে লিখবেন কী? বিক্ষিপ্তভাবে কথা বলে নির্বাচনটা প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। কথা বলাটা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান পর্যবেক্ষকদের।
তিনি বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে দেশের মানুষকে চারিত্রিক ও মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। দেশদ্রোহীরা কারা তাদের আপনারা চেনেন, জানেন। তাদের ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সার্ক মানবিাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুস সালাম, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।