মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বুধবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে ওই চিঠি পাঠায়।
এতে বলা হয়, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত নাজনীন ফেরদৌস, জিনাত আখতার এবং হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ কর হল।
এদিকে এই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এই তিন শিক্ষকের বেতনভাতা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী আগের দিন রোববার পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিলেন। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেননি অরিত্রী।
এরপর সোমবার অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
অরিত্রীর স্বজনরা বলছেন, বাবা-মার ‘অপমান সইতে না পেরে’ ঘরে ফিরে আত্মহত্যা করেন এই কিশোরী। এ ঘটনার পর গত দুই দিন ধরে ভিকারুননিসা স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
এ ঘটনায় এই তিন শিক্ষককে আসামি করে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন অরিত্রীর বাবা।
দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় করা এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। এ ধারায় সর্বনিম্ন শাস্তি দশ বছর কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে অর্থদণ্ড। তাছাড়া আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন করাদণ্ডও দেওয়া যাবে।