বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আসামি পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. নওশের আলী মোল্লা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
আমিন উদ্দিন মানিক পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলায় আগাম জামিন আবেদনের পর মঙ্গলবার হাই কোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।”
দুদকের আইনজীবী নওশের আলী মোল্লা বলেন, আসামির জামিন আবেদনেই বলা হয়েছে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ফলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।
দুদকের আইনজীবী জানান, ২০০২ সালের ১০ অক্টোবর আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পায়। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল রাজশাহীতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কনস্টেবল আবদুল মালেক সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কর্মরত ছিলেন।’
জাল সনদ ও ভুয়া পরিচয়ের বিষয়টি কীভাবে ধরা পড়েছে জানতে চাইলে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘কনস্টেবল আবদুল মালেক ১৯৯৮ সালের এসএসসি’র শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে চাকরি পান।
ওই সনদে উল্লেখ আছে, তিনি ১৯৯৮ সালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর এ এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এসএসসি পাশ করেন। আসলে তিনি এসএসসি পাশই করেনি, অকৃতকার্য হয়েছিলেন।
“আবার আবেদনপত্রে মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুর রাজ্জাককে বাবা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আসলে তার বাবার মো. আবদুস সাত্তার।”
গত ১৫ মে তেকানী চুকাইনগর এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোকাররম হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানানো হয়, কনস্টেবল আবদুল মালেক ১৯৯৮ সলে এসএসসিতে অকৃতকার্য হয়েছেন। পরে বিদ্যালয়ের রেকর্ড থেকেও এর সত্যতা পাওয়া যায়।
এরপর রাজশাহীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডও জানায় যে, আব্দুল মালেক চাকরি পেতে যে সনদ দিয়েছেন, এই সনদ ও নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে ইস্যু করা হয়নি।
জালিয়াতির এ ঘটনা উদঘাটন হওয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ৫ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাতেই আগাম জামিন নিতে এসছিলেন চাকরিচ্যুত আবদুল মালেক।