ভিডিও দেখে হামলাকারীদের ধরা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নয়া পল্টনে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ভিডিও দেখে পুলিশের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2018, 02:02 PM
Updated : 14 Nov 2018, 02:02 PM

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে নয়া পল্টন সরগরম থাকার মধ্যে বুধবার দুপুরে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন বানচাল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারা শুধু পুলিশের উপর হামলাই চালায়নি, তারা সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে, ভাংচুর করে উল্লাস করছে।

“তাদের হামলায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারত। নির্বাচন বানচাল করার প্রচেষ্টা থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। যারা নির্বাচন চায়, তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না।”

বিএনপি নেতারা এই সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, হেলমেটধারী যে যুবকরা হামলায় যুক্ত ছিল, তারা বিএনপির কেউ নয়।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হামলায় পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুজন আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ২৩ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “তাদেরকে বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের মাথা, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে।”

হাসপাতালে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

আছাদুজ্জামান মিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, “স্যার, আমরা অত্যন্ত ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছি। আমাদের কয়েকজন সদস্যকে তারা আটকে রেখেছিল, পরে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করি।”

এই সংঘর্ষের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে দায়ী করেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, “স্যার, মির্জা আব্বাসকে বার বার বলা হয়েছে লোকজন নিয়ে সেখানে না আসতে। তারপরও তারা লোকজন নিয়ে আসে। মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে মিছিলটি আসার পর গণ্ডগোল শুরু হয়।”