সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সংসদে বিলটি প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
দায়রা আদালতে যে সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারে, আইন সংশোধনের ফলে শিশু আদালতও সে ক্ষমতার অধিকারী হল।
শিশু আইন-২০১৩ কার্যকর হওয়ার পর কিছু ক্ষেত্রে প্রায়োগিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার এর কিছু ধারা সংশোধনের জন্য বিলটি আনা হয়।
বিলটি গত ২৬ জুন সংসদে উত্থাপনের সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। সংসদীয় কমিটি গত ৪ জুলাই প্রতিবেদন দিলেও সামগ্রিক পরীক্ষার জন্য ফের সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বিলটি। কমিটি নতুন করে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বিলটি পাস হল।
বিলের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যা–ই থাকুক না কেন, কোনো অপরাধের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকলে পুলিশ প্রতিবেদন, অনুসন্ধান প্রতিবেদন বা তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও পৃথকভাবে নিতে হবে।
১৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, শিশুর অপরাধ বিচারের জন্য মামলা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ শিশু আদালতে পাঠাতে হবে।
১৬ ধারায় বলা হয়েছে, শিশুর করা অপরাধ বিচারের জন্য প্রতিটি জেলা সদরে শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। কোনো জেলায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল না থাকলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে।
১৮ ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যে সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, শিশু আদালতও একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
২৯ ধারায় বলা হয়েছে, শিশু আদালতে শিশুর জামিন মঞ্জুর না হলে আদালত জামিন মঞ্জুর না করার কারণ লিপিবদ্ধ করে শিশুকে কোনো প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর আদেশ দেবেন।