জব্দ চাল-আটা ওএমএসের না, রেশনের: ডিলার সমিতি

ঢাকায় সরকারি গুদাম থেকে দুই সপ্তাহ আগে যে চাল ও আটা জব্দ করা হয়েছিল, তা ওএমএসের নয়, বিভিন্ন বাহিনীর রেশনের জন্য নির্ধারিত খাদ্যপণ্য বলে দাবি করেছে ওএমএস ডিলারদের একটি সংগঠন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2018, 09:40 AM
Updated : 24 Sept 2018, 09:40 AM

সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর ওএমএস ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

সংগঠনের সদস্যসচিব হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কালোবাজারে বিক্রির জন্য’ গুদাম থেকে বের করার সময় জব্দ করা ওই খাদ্যপণ্যের সঙ্গে ডিলারদের জড়িয়ে তাদের ‘সামাজিকভাবে হেনস্তা’ করা হচ্ছে।

গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও সরকারি খাদ্যগুদাম, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ২১৫ টন চাল ও আটা জব্দ করার কথা জানায় র‌্যাব।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সে সময় বলেন, স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪১টি ট্রাকে করে ওএমএসের এসব চাল ও আটা বিক্রি করার কথা। তা না করে খাদ্য গুদামের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব কালোবাজারে বিক্রি করে ছিলেন।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওএমএস ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওএমএসে প্রত্যেক ডিলারের জন্য প্রতিদিনের বরাদ্দ থাকে এক টন চাল ও দুই টন আটা। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সিএসডি থেকে তুলে ওই পণ্য বিকাল ৫টার মধ্যে বিক্রি করতে হয়।

“অবিক্রিত মালামাল তাদারকি কর্মকর্তা ‘ব্যালেন্স’ হিসেবে দেখিয়ে ডিলারের জিম্মায় দিয়ে দেন। পরদিন ডিলার নিজের খরচে নির্দিষ্ট বিক্রয় কেন্দ্রে তা বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। অবিক্রিত মালামাল সিএসডিতে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সু্যোগ নেই।”

সংগঠনের আহ্বায়ক আলমগীর সৈকত সংবাদ সম্মলনে বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যেসব মালামাল জব্দ করা হয়েছে তা বিভিন্ন বাহিনীর রেশনের মালামাল।

“অথচ আমাদের পাচারকারী অপবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, আমাদের তিনজন ডিলারের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।”

লিখিত বক্তব্যে হারুন বলেন, তেজগাঁও সিএসডি থেকে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, টিআর, কাবিখা এবং জেলখানার রেশনের মালামালও তোলা হয়। রেশনের বস্তা এবং ওএমএসের বস্তার গায়ে একই রকম লেখা থাকে।

সারাদেশে ৮ শতাধিক ডিলার ওএমএসের মালামাল বিক্রির সঙ্গে জড়িত এবং ‘মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে’ তারা সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন মন্তব্য করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান হারুন।

ডিলার সমিতির এই দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই রাতে অভিযানে উদ্ধার হওয়া বস্তায় লেখা ঠিল ‘সুলভমূল্যে বিক্রির জন্য’। এটা ওএমএসের বস্তায় লেখা থাকে।”

তিনি বলেন, “ওই বস্তা ও মালামালের জব্দ তালিকা করা হয়েছে, মামলাও হয়েছে। ডিলাররা আদালতে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করুক।”