ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন এখন সরকারি সম্পত্তি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার স্মৃতিবিজড়িত রোজ গার্ডেন কিনে নিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2018, 01:49 PM
Updated : 16 Sept 2018, 01:49 PM

পুরান ঢাকার ঋষিকেশ দাস রোডের পুরাকীর্তি বাড়ি রোজ গার্ডেনের মালিক লায়লা রকীব ও তার সন্তানদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন দলিল মূলে এটি কিনে নেওয়া হল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে গণভবনে লায়লা রকীব ও তার সন্তানদের কাছ থেকে বাড়িটি কেনার রেজিস্ট্রেশন দলিল গ্রহণ করেন।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গত ৮ অগাস্টের বৈঠকে আওয়ামী লীগের জন্ম ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকের সাক্ষী রোজ গার্ডেন ভবনটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছিল।

সে অনুযায়ী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রোজ গার্ডেনের বর্তমান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্পত্তির মূল্য ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে।

প্রধানমন্ত্রী রোজ গার্ডেন ভবনের দলিল গ্রহণ করেন এবং অর্থের চেক ও রাজধানীর গুলশানে ২০ কাঠা জমিতে নির্মিত একতলা ভবন রোজ গার্ডেনের মালিকের কাছে বিক্রয় সংক্রান্ত দলিল হস্তান্তর করেন।

রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে দলটি গঠিত হয়, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম নেয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলনের পর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয় দলটি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “রোজ গার্ডেন ভবনটির একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। কারণ, এ ভবন থেকে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন উপমহাদেশের অন্যতম পুরাতন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।”

১৯৩১ সালে ঋষিকেশ দাস নামের এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পুরান ঢাকায় ২২ বিঘা জমির উপর যে বাগানবাড়ি তৈরি করেন এবং তারই নাম হয় রোজ গার্ডেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজ গার্ডেনের মতো ঐতিহাসিক স্থাপনাকে নষ্ট করা ঠিক নয়।

“রোজ গার্ডেনকে পুরাতন ঢাকার ঐতিহাসিক স্মৃতি চিহ্নসমূহ তুলে ধরতে জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।”

নগর ভবনে যে জাদুঘরটি রয়েছে, তা রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী রোজ গার্ডেনের মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা দলিলটি গ্রহণ করে তা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর উপস্থিত ছিলেন।