মঙ্গলবার বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩টি সেতু ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক এন-ফোরে এই ২৩টি সেতু নির্মাণ করেছে।
৭০ কিলোমিটারের এই মহাসড়কে লতিফপুর, উত্তর হিজলতলী, টানসূত্রাপুর, সোহাগপুর, দেওহাটা-২,দেওহাটা-৩, পোস্তকুমারী, সুবল্লা, আকলিমতলা, পাকুল্লা, জামুর্কি, আমলাপাড়া, কবুতাবাই, মাদুরমনি, খারজানা, আমপুর, কান্দিলা, শিবপুর, বিক্রমহাটি-১, বিক্রমহাটি-২, রসুলপুর, পুংলী এবং পালু সেতুর নির্মাণে ৩০৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ৬৮ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকায় ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করেছে।
প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হবার ফলে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারিত হবে এবং এক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা অঞ্চলের দেশগুলো এর সুফল পাবে।”
সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ও চলাচলে সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে তার সরকার সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ ও প্রশস্ত করছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো সহজ ও দ্রুততর করতে বিভিন্ন রুটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে।”
দেশের রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে আরো শক্তিশালী ও আধুনিক করার পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা- দিনাজপুর এবং ঢাকা-বরিশাল রুটে বুলেট ট্রেন চালু করা হবে।”
তুলনামূলকভাবে কম খরচে এবং দ্রুত সময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করায় সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।