সরকারি হল আরও ২৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

রাষ্ট্রীয়করণের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় থাকা আরও ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 12:29 PM
Updated : 21 May 2018, 12:29 PM

সুনামগঞ্জের ছাতক বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের জামতৈল ধোপাকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ীর পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া পাইলট মডেল হাই স্কুলকে সরকারি করে সোমবার আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

ভোলার বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন (এস জে) মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁর বদলগাছী মডেল পাইলট হাই স্কুল এবং নেত্রকোণার শালদীঘা গোপাল গোপীনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি করে নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার কলারোয়া জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেটের কাসিম আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল নজরুল একাডেমি, নাটেরের বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাইলট স্কুলকে সরকারি করা হয়েছে।

এছাড়া বগুড়ার কাহালু মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুরের রাজৈব গোপালগঞ্জ কে জে এস পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশন, কুড়িগ্রামের রৌমারী সি জি জামান উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জের পাগলা মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ জে কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং নেত্রকোণার বানিয়াজান সি টি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি হওয়া এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অন্য বিদ্যালয়ে বদলি হতে পারবেন না।

সবশেষ গত ৭ মে ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে সরকার। এর আগে আরও কয়েক ধাপে বেশ কয়েকটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করা হয়।

যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই, সেখানে একটি করে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করছে সরকার।

এর ধারাবাহিকতায় দেশের ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৮৫টি কলেজ জাতীয়করণের জন্য চূড়ান্ত করে এসব প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

চূড়ান্ত তালিকায় থাকা বিদ্যালয়গুলোতে সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।