ইসির যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) এস এম আসাদুজ্জামান সোমবার এ বিষয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।
সব মিলিয়ে হাজারখানেক গণমাধ্যকর্মী এবার খুলনা সিটি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করছেন। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় তাদের পরিচয়পত্র নিতে হয়েছে।
তাদের উদ্দেশে ইসির সাত নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ইসির পক্ষ পাওয়া বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করবেন।
কোনোভাবেই ভোটদানের গোপন কক্ষে প্রবেশ বা ভেতরের কোনো ছবি বা ভিডিও ধারণ করা যাবে না। কেন্দ্রের ভেতরের কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন সব কাজও তারা করবেন না।
ইসি সংবাদকর্মীদের সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। কোনো নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।
সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে সংবাদকর্মীদের। ভোট অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্যে সংবিধান, নির্বাচনী আইন ও বিধি মেনে চলবেন তারা।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইতোমধ্যে বলেছেন, “নতুন কোনো বিধি-নিষেধ আরোপের উদ্দেশ্য আমাদের নেই। স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করে; নিজেদের নীতিমালা মেনে কাজ করে। আগামীতে এ কাজ আরও সুন্দর হবে আশা করি। কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি যেন না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখা হবে।”