মুন্সীগঞ্জের পদ্মায় বালুমাটির বাঁধ অপসারণের নির্দেশ হাই কোর্টের

মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলই ও দিঘিরপাড়ঘেঁষা পদ্মার বুকে বালুমাটি দিয়ে নির্মিত বাঁধ অপসারণ এবং টোল আদায় থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2018, 02:02 PM
Updated : 21 March 2018, 02:04 PM

পদ্মার বুকে বালুমাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ ও টোল আদায় কেন অবৈধ হবে না এবং তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে আমলে নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল ও আদেশ দেয়।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

‘পদ্মায় অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে টোল আদায়’ শিরোনামে বুধবার দৈনিক সমকালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান।

আদেশের সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

পরে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আদালত ওই ঘটনার তদন্ত করে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।”

সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলই ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নঘেঁষা পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করে ট্রলি, মহেন্দ্র ও মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে। টোলঘর বসিয়ে প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ বাঁধের কারণে পদ্মা নদীর পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

নদী-তীরবর্তী গ্রামবাসীদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলই ইউনিয়নের পূর্ব রাখী গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অবৈধ এ বাঁধ নির্মাণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম লিটন বেপারীর ভাই ইসমাইল বেপারী ও তার লোকজন।

আলুর বস্তাভর্তি ট্রলি ও মহেন্দ্র পারাপারের জন্য সেখানে গাড়িপ্রতি ৩০০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের জন্য ৫০ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।