ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আহত মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা এবং আলমুন নাহার অ্যানি দেশে ফিরে বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন সামন্ত লাল।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাঠমান্ডু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শেখ রাশেদ রুবাইয়াত, কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারিকে রোববার দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সামন্ত লাল বলেন, দুর্ঘটনার ক্ষত নিয়ে দেশে ফেরা অ্যানি, মেহেদী আর স্বর্ণাকে আরও ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
এতো বড় দুর্ঘটনার কারণে তারা এখন ‘সাইকোলজিক্যালি ট্রমার’ মধ্যে রয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তাদের সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো হবে।
গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি।
যে দশজন বাংলাদেশিকে দুর্ঘটনার পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল, তাদের মধ্যে রিজওয়ানুল হককে বুধবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর শাহরিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় এনে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার বিকালে ঢাকায় ফেরেন মেহেদী, স্বর্ণা আর অ্যানি।
রুবাইয়াত, কবির ও শাহীন ছাড়া কাঠমান্ডুর হাসপাতালে আছেন ইয়াকুব আলী ও ইমরানা কবির হাসি।
তাদের মধ্যে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসির অবস্থা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।