যুদ্ধাপরাধ: নোয়াখালীর ৪ আসামির রায় মঙ্গলবার

নোয়াখালীর সুধারামের চার আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় জানা যাবে মঙ্গলবার। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2018, 05:28 AM
Updated : 12 March 2018, 05:28 AM

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।

প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল।

সোমবার ট্রাইব্যুনাল জানায়, রায় দেওয়া হবে মঙ্গলবার। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩১তম রায়।

এ মামলার আসামিরা হলেন- আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। তাদের মধ্যে মনসুর পলাতক।

মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

জাহিদ ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চার আসামির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগের উপর প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। প্রসিকিউশন মনে করে, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সবকটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আরজি জানিয়েছি ট্রাইব্যুনালের কাছে।”

এ মামলায় প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলও মামলার অভিযোগ গঠনের আগে আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান।

পরে ২০১৬ সালের ২০ জুন চারজন আসামিকে হত্যা, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগের তিন ঘটনায় অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করে আদালত।

প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা করে।

মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। তিনিসহ মোট ১৫ জন প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।