শতাধিক বিচারকের জেলা জজ পদোন্নতিতে সুপ্রিম কোর্টের সায়

হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে প্রধান বিচারপতির প্রথম ফুল কোর্ট সভায় শতাধিক অতিরিক্ত জেলা জজকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2018, 04:45 PM
Updated : 14 Feb 2018, 04:45 PM

বুধবার বিকালে ফুল কোর্ট সভার পর সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৮তম বিসিএসের মাধ্যমে বিচার বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থেকে যারা অতিরিক্ত জেলা জজ হয়েছিলেন তাদের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতির প্যানেলটি অনুমোদন দিয়েছে ফুল কোর্ট সভা।”

পদোন্নতি সংক্রান্ত ফুল কোর্ট সভার এ সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আইন মন্ত্রণালয় পদোন্নতির এ সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের জিএ (জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ) কমিটিতে পাঠিয়েছিল। জিএ কমিটি সে সুপারিশ পর্যালোচনা বা যাচাই-বাছাই করে তা ফুল কোর্ট সভায় সুপারিশ আকারে পাঠায়। সে অনুযায়ী ফুল কোর্ট সভায় পদোন্নতির সুপারিশের অনুমোদন হল। এখন এ সিদ্ধান্ত আবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”

বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এই সভা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এটিই প্রথম ফুল কোর্ট সভা।  

বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন  কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইন মন্ত্রণালয়ের পদোন্নতির সুপারিশ থেকে ১২৮ অতিরিক্ত জেলা জজকে জেলা ও দায়রা জজ, শর্তসাপেক্ষে একজনকে জেলা জজ এবং তিনজনকে যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতির অনুমোদন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভা।

“শর্ত সাপেক্ষে যার পদোন্নতির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা একবছর পূর্ণ হলেই (আগামী ৩১ মে) কেবল তিনি জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পাবেন।”

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, পদোন্নতির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ১৪৮ জনের সুপারিশ পাঠালেও ১৩৪ জনের পদোন্নতির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেসব বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে, যাদের কাজের দক্ষতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এবং বিভাগীয় শাস্তি হয়েছে এ রকম আটজন অতিরিক্ত জেলা জজের নাম পদোন্নতির প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের উত্থাপিত অভিযোগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এ সময় প্রধান বিচারপতি হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সময়মতো এজলাসে ওঠা ও সতর্কতার সঙ্গে বিচার কাজ পরিচালনা করতে বলেন।”

এছাড়া ‘অনিয়ম-দুর্নীতিসহ’ সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে মতবিনিময় করবেন বলে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি।