শিক্ষার মোতালেব, নাসির ও লেকহেডের মতিন কারাগারে

ঘুষের মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মী এবং ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুলের এক পরিচালকের জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে আদালত। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2018, 11:59 AM
Updated : 23 Jan 2018, 11:59 AM

শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন এবং লেকহেড গ্রামার স্কুলের অন্যতম মালিক খালেদ হাসান মতিনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

ওই তিনজনের মধ্যে মোতালেব ও মতিনকে গত শনিবার এবং নাসির গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছিল। পরে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে রোববার বলা হয়, তিনজনই তাদের হেফাজতে আছে।

গ্রেপ্তারের সময় নাসিরের কাছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সোমবার রাতে ঢাকার বনানী থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম মৃধা। জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ লেকহেড স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য মতিনের কাছ থেকে মোতালেব ও নাসির ঘুষ নিয়েছিলেন বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়।  

লেকহেড স্কুলের গুলশান শাখা

জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি বলেন, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬২ ও ১৬৫ ধারায় দায়ের করা এ মামলা জামিনযোগ্য।

তিনি যুক্তি দেন, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড গ্রামার স্কুল খোলার জন্য আসামিরা ঘুষ লেনদেন করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হেয়েছে এ মামলায়। কিন্তু তার আগেই হাই কোর্ট ওই স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সুতরাং তাদের জামিন দেওয়া যায়।  

আর বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব নাসিরের জামিন আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি অফিসের পিকনিক সামনে রেখে যে কুপন বিক্রি হয়েছিল, তার টাকা ছিল নাসিরের কাছে। ১৮ জানুয়ারি আটকের সময় তার কাছে সেই টাকাই পেয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে জামিন আবেদনের বিরোধিতায় দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, এ মামলা নিয়ে তদন্ত চলছে এবং অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যুক্ত হতে পারে। তাদের এখন জামিন দেওয়া হলে তাতে তদন্তের বিঘ্ন ঘটতে পারে। 

শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে তিন আসামির সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।