উপজেলা পরিষদ:  সংরক্ষিত ১৪৯১ পদে উপ-নির্বাচন ২৯ জানুয়ারি

বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে শূন্য প্রায় দেড় হাজার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে উপ-নির্বাচন ২৯ জানুয়ারি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2018, 12:32 PM
Updated : 9 Jan 2018, 12:32 PM

মঙ্গলবার ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, ২৯ জানুয়ারি ৪৯১ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত ১,৪৯১টি শূন্য পদে উপ-নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট চলবে।

সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত তফসিল ঘোষণার জন্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলেও পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন সংরক্ষিত নারী সদস্যরা।

ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করবেন। আর এই সদস্যদের সংখ্যা হবে উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট নারী সদস্যের এক তৃতীয়াংশের সমান।

ইসি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১৪ সালের  ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। সেক্ষেত্রে প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ জনপ্রতিনিধিদের; তাদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি-জুলাইয়ে।

উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথমবার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট হয় ২০১৫ সালের ১৫ জুন।

কিন্তু দেশজুড়ে পৌরসভা ও ইউপি ভোটের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিতরা সংরক্ষিত নারী সদস্যর পদ হারানোয় তা শূন্য হয়ে গেছে। গেল ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ শূন্য পদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারিও করে।

১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, এ বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে এসব শূন্য পদে ভোটের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ জন্যে ২৯ জানুয়ারি উপ-নির্বাচন সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কে এম নূরুল হুদার কমিশন।

বাংলাদেশের সব উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার সংরক্ষিত নারী সদস্যের পদ রয়েছে; এতে ভোটার রয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার জন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরের একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।

সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকের মধ্যে রয়েছে- টেবিল, মোরগ, পেঁপে, বালতি, হরিণ, চাঁদ, ঢেঁকি, খরগোস, বক ও গিটার।

এ ভোটে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা।