তার দাবি, বাহিনীগুলোর কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলেও সরকার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার বাহিনীগুলোকে দিয়ে যথেচ্ছভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাহিনীগুলোর পক্ষে অবস্থান নেন আইনমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এদিন মানবাধিকার বিষয়ক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, এটা আমি মানতে রাজি না।”
দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। এক্ষেত্রে সরকারের ‘নীরব’ ভূমিকারও সমালোচক তারা।
আইনমন্ত্রী বলেন, “সব জায়গায় সব বাহিনীতে কিছু আছেন, যারা হয়ত অতিরিক্ত করেন। সেই ক্ষেত্রে যখনই কোনো নালিশ পাওয়া যায়, তখনই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।”
সাংবাদিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে গুম-খুনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বলেন, “এগুলো কিন্তু তদন্ত হচ্ছে। আপনারা চাইলে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আপনাদের আপডেট জানাব।”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কথাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুনছে না বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আনিসুল হক বলেন, “মানবাধিকার কমিশন যখনই কোনো বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, তখনই যেই মন্ত্রণালয়ই হোক, এই সরকার কিন্তু সেটা আমলে নেয়। সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য সচেষ্ট হয়।”
সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেন আনিসুল হক।
“আমরা প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে যে আশ্রয় দিয়েছি, এটাও কিন্তু দারুণভাবে মানবাধিকারকে সাহায্য করে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এটাও কিন্তু একটা মাইলফলক।”