গত পনের অগাস্টে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে হামলা চেষ্টার তথ্যে ওই হোটেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন বাইট’ চলাকালীন আত্মঘাতী হয় ওই জঙ্গি।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তানভির ইয়াসিন করিম (৩২) ওই হামলাচেষ্টার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. ইউসুফ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান আজাদ মসজিদ এলাকা থেকে করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটি), পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা, এসবি ও বগুড়া জেলা পুলিশ যৌথভাবে ওই অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নসাৎ করে দেয় পুলিশ। অপারেশন বাইটে আত্মঘাতী হয়ে মারা যায় খুলনার ডুমুরিয়া থানার আবুল খায়েরের ছেলে জঙ্গি সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, মামলা তদন্তে জানা যায় করিম ও আকরাম হোসেন খান নিলয় নামে পলাতক আরেক জঙ্গি ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ সরবরাহকারী।
করিম ও নিলয় নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতা জানিয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইউসুফ বলেন, করিম বিভিন্ন সময় সংগঠনের জন্য অর্থ সরবরাহ করত। জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থ সরবরাহের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি।
গ্রেপ্তার করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতের আবেদন নিয়ে তাকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
শুনানি শেষে হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন পাঁচ দিন হেফাজতের আদেশ দেন বলে পুলিশের অপরাধ, তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।