হলফনামা আরো কার্যকর করার দাবি সুজনের

একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়ার বিধান বাতিল প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে এই বিধানকে আরো ‘কার্যকর’ করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 11:45 AM
Updated : 22 Oct 2017, 11:45 AM

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বর্তমান হলফনামার ছকে আরো কিছু বিষয় সংযুক্তি এবং হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগী হওয়ারও প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, “গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে একটি রাজনৈতিক দল হলফনামার মত গুরুত্বপূর্ণ বিধান বাতিলের দাবি করেছে। এমন দাবি হতাশাজনক ও অনভিপ্রেত। হলফনামা বাতিলের ক্ষমতা ইসির নেই, এটি উচ্চ আদালতের এখতিয়ার।”

ওইদিন নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে হলফনামা দাখিলের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে বর্তমান মহাজোট সরকারের শরীক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

এ প্রসঙ্গে হলফনামার বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযুক্তির পেছনে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফিরিস্তি তুলে ধরেন বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অঙ্গন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কলুষমুক্ত রাখতে হলফনামার বিধান আরও কার্যকর করার জন্য ইসির কঠোর হওয়া উচিত। বর্তমান হলফনামার ছকটি অসম্পূর্ণ ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এতে আরও কয়েকটি বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা উচিত।”

এক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স, বিদেশি নাগরিকত্ব আছে কিনা, আয়ের উৎসের বিস্তারিত বিবরণ, সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কিনা ও প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের বিস্তারিত বিবরণ প্রভৃতি হলফনামার ছকে রাখার দাবি জানান সুজন সম্পাদক।

“হলফনামা দেওয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, মিথ্যা তথ্য দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ হওয়ায় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ও নির্বাচন কমিশনকে তার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে হলফনামা যাচাই-বাছাই করার উদ্যোগ নিতে হবে।”

কিছু ‘বসন্তের কোকিল’ ও ‘উড়ে উড়ে এসে জুড়ে বসা’ ব্যবসায়ীদের ঠেকাতে হলফনামা আবশ্যক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিলে অনেক অবাঞ্ছিত ব্যক্তিকেই নির্বাচনী অঙ্গন থেকে দূরে রাখা যাবে। ফলে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া কলুষমুক্ত হওয়ার দ্বার উন্মোচিত হবে।”

হলফনামার বিধান বাতিল হলে জনগণের বাক স্বাধীনতা ও তথ্য জানার অধিকার খর্ব হবে বলে উল্লেখ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের প্রসঙ্গও টানেন তিনি।

সুজনের সহ-সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হকও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।