ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বেশ সফলভাবে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষ করেছি। সবাই খুব আন্তরিক ছিলেন, আমরাও সহায়তা পেয়েছি। সুচারু ও সফলভাবে সংলাপ সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলে বর্তমান ইসি স্বস্তি বোধ করছেন।”
আগামী বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দেড় বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার পর সংসদীয় আসন সীমানা পুনর্বিন্যাস, আইন সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে দিয়ে গত ৩১ জুলাই ইসির এবারের সংলাপ শুরু হয়। এরপর ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি।
নবম ও দশম সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিগত দুই কমিশনের সংলাপের অভিজ্ঞতা ‘সুখকর’ না হওয়ায় কে এম নূরুল হুদার কমিশন খানিকটা ‘চিন্তায়’ ছিল। ২৪ অগাস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৪০টি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে তাদের সেই চিন্তা দূর হয়েছে।
এবারের সংলাপে দলগুলোর দাবি-দাওয়ার চেয়েও গণমাধ্যমে বেশি আলোচনায় এসেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় দেশের প্রধান এ দুই দলের ভূয়সী প্রশংসা করে সিইসির মন্তব্য।
এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, “গণমাধ্যমে বিষয়গুলো বেশি প্রাধান্য পাওয়ায় আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি দলকেই সিইসি মহোদয় প্রশংসা করে আসছেন। আমরা তো মনে করি, খুব সফল সংলাপ করতে পেরেছি দলগুলোর সঙ্গে। আমরাও স্বস্তি বোধ করছি।”
অতীতে সংলাপ নিয়ে বিভিন্ন দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও নানা ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘটনার সৃষ্টি হলেও এবার ‘অপ্রীতিকর’ তেমন কিছু ঘটেনি বলে মন্তব্য করেন হেলালুদ্দীন।
তিনি বলেন, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষে অন্য অংশীজনের মতামত নিয়েই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।