সোমবার বিকালে ঢাকার বনানীতে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
মাসুদ সাদেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের ছোট ভাই এবং বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের দেবর।
সহযোদ্ধাদের কাছে চুল্লু নামে পরিচিত মাসুদ সাদেকের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী ইয়াসমিন সাদেক, একমাত্র মেয়ে সানজানা সাদেককে রেখে গেছেন।
একাত্তরে ঢাকায় যে তরুণদের গেরিলা হামলা পাকিস্তানি বাহিনীকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল, সেই ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন মাসুদ সাদেক। তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাদের বোমা হামলার ঘটনাটি ছিল আলোচিত।
ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য শাফি ইমাম রুমী, বদিউল আলম বদি, আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের সঙ্গে চুল্লুও যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন। তিনি বেঁচে ফিরতে পারলেও অন্যরা শহীদ হন।
মাসুদ সাদেকের মৃত্যুর খবরে শোকাহত সহযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেইসবুকে লিখেছেন, “নিদারুণ অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলে তুমি। ১৬ ডিসেম্বর তুমি মুক্ত হয়ে জানান দিলে কী এক অসহনীয় নির্যাতনের মুখোমুখি আলতাফ মাহমুদ, রুমি, বদি, জুয়েলসহ অগুনতি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শির নত না করার কথা, নতজানু না হওয়ার বীর গাথা।”
মাসুদ সাদেকের আরেক সহযোদ্ধা শহীদুল্লাহ খান বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মরদেহ এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বুধবার তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলে বিকালে বনানী ওল্ড ডিওএইচএস মসজিদে জানাজা হবে।
বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে মাসুদ সাদিককে দাফনের ‘প্রাথমিক সিদ্ধান্ত’ হয়েছে বলে বাদল জানান।
তিনি বলেন, “মেয়ে দেশে ফেরার পরই সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
মাসুদ সাদেকের মৃত্যুতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।