রায় বহাল, বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদকে দেওয়া অবৈধ

বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণার রায় বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2017, 04:34 AM
Updated : 1 August 2017, 04:57 AM

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বিভাগ সোমবার এই রায় দেয়।

‘সরকার বনাম অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও অন্যান্য’ শীর্ষক আলোচিত এই মামলা এদিন রায়ের জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। সে অনুযায়ী সকাল ৯টায় আদালত বসার পর প্রথমেই এই রায় হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বিচারকরা এজলাসে আসেন প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে। জনাকীর্ণ আদালত কক্ষে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি।

হাই কোর্টের রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ এক্সপাঞ্জ (বাদ দিয়ে) করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ‘সর্বসম্মতভাবে’ খারিজ করার রায় ঘোষণা করেন তিনি।

রিটকারীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, “সর্বসম্মতিক্রমে আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আইনটি করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, সেটা বেআইনি, অকার্যকর ও বাতিল হয়ে গেল।”

এই রায়ে স্বাধীনতার চার দশক পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল’ বলেও মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।

তার ভাষ্য, “দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা যেভাবে সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছিল, তাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতেন না। দেশের জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার যে অধিকার আছে, সেটি থেকে তারা বঞ্চিত হত।”

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “আমি অত্যন্ত হতাশ। আমাদের যে আশা ছিল, স্বপ্ন ছিল সংবিধানের মূল অনুচ্ছেদ ৯৬ তে ফিরে যাব, আজকে এই রায়ের ফলে সেটা আর হল না। আমি অত্যন্ত দুঃখ অনুভব করছি, হতাশ হয়েছি।” 

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায়ে বাংলাদেশ বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ফিরে যাচ্ছিল।

“আর যে সংশোধনী আনা হয়েছিল (ষোড়শ) মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য, সেটি এখন ব্যহত হল।”

রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে কিনা জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকার ও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। 

আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় দেখার পরই তারা এ বিষয়ে কথা বলতে চান।

অন্যদিকে ষোড়শ সংশোধনীর বিরোধিতা করে আসা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেটি আজ অবৈধ ঘোষণা করেছে। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত জনগণের বিজয়।”

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সময়ই ২০১৪ সালে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। ‘অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ওই সংশোধনীর মাধ্যমে।  

ওই সংশোধনী রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি করে। এর মধ্যে আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীসহ সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী একটি রিট আবেদন করেন হাই কোর্টে।

এরপর ২০১৬ সালে হাই কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেওয়া রায়ে সংবিধানের এই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

হাই কোর্টের রায়

“বলতে দ্বিধা নেই, ষোড়শ সংশোধনী একটি কালারেবল লেজিসলেশন (কোনো কাজ সংবিধানের মধ্যে থেকে করার সুযোগ না থাকলে আইনসভা যখন ছদ্ম আবরণে ভিন্ন প্রয়োজনের যুক্তি দেখিয়ে একটি আইন তৈরি করে), যা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ নীতির লঙ্ঘন।

“এটা সংবিধানের দুটি মূল কাঠামো ৯৪(৪)ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদেরও লঙ্ঘন। একইসঙ্গে সংবিধানের ৭(বি) অনুচ্ছেদকেও আঘাত করে।

“সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে রুল যথাযথ (অ্যবসলিউট) ঘোষণা করা হল। ষোড়শ সংশোধনী আইন ২০১৪ কালারেবল, এটি বাতিল এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হল।”

হাই কোর্টের এই রায় নিয়ে সে সময় রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়িয়েছিল, সংসদে হয়েছিল ওয়াকআউট। অন্যদিকে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি আবার হাই কোর্টের রায়ের পক্ষে অবস্থান জানায়। 

সংবিধান প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলাটির আপিল শুনানি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের চাপাচাপিতে আদালতেও উত্তাপ ছড়ায়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডা সে সময় আলোচনার জন্ম দেয়।

সংসদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, হাই কোর্টের এই রায় ‘সংবিধান পরিপন্থি’। এটি আপিলে টিকবে না।

সংসদে প্রণয়ন করা আইন উচ্চ আদালতে বাতিল করে দেওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের সুবিবেচনা প্রত্যাশা করেছিলেন।

দশ ‘আদালতবন্ধুর’ মতামত

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ৮ মে আপিল বিভাগের ‘ফুলবেঞ্চে’ শুনানি শুরু হয়। সব মিলিয়ে ১১ দিন রাষ্ট্র ‍ও রিট আবেদনকারীর বক্তব্য শোনেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা।

গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির শুনানিতে আপিল বিভাগ আদালতবন্ধু হিসেবে ১০ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। তাদের মধ্যে কামাল হোসেনসহ নয়জনই সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পক্ষে অর্থাৎ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মত দেন।

কামাল হোসেনের সঙ্গে একই মত পোষণকারীরা হলেন টি এইচ খান, এ এফ এম হাসান আরিফ, এম আমীর উল ইসলাম, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম আই ফারুকী ও আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া। অন্যদিকে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের পক্ষে অবস্থান জানান শুধু আজমালুল হোসেন কিউসি।

আদালত মোট ১২ জন আইনজীবীকে অ্যামিচি কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিলেও তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মতামত দেননি।

তাদের বাইরে ‘ইন্টারভেনার’ হিসেবে সংবিধানের এই সংশোধনের পক্ষে যুক্তি দেখান সাবেক আইনমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু।

শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা প্রশ্ন রেখেছিলেন, কোনো বিচারককে অপসারণের প্রক্রিয়ার সময় যদি সংসদে কোনো দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকে তখন কী হবে?

এর উত্তরে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা মতিন খসরুর বক্তব্য ছিল, “সেটা পরবর্তী প্রজন্ম দেখবে।”

বিচারক অপসারণ: বার বার ক্ষমতা বদল

# বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই রাখা হয়েছিল।

# ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু আমলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের পর বিচারক অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়।

# পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন এনে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন।

# সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আদালত অবৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনলেও তাতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এই সংসদেই হয় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন

# ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়, যাতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা ফিরে পায় সংসদ। বিলটি পাসের পর ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

# সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ৯ আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানির পর হাই কোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল দেয়। রুলে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

# ২০১৬ বছরের ৫ মে হাই কোর্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ওই বছরের ১১ অগাস্ট। 

# তিন বিচারকের ওই বেঞ্চের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। অন্য বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তাতে ভিন্নমত জানিয়ে আলাদা রায় দেন।

বাংলাদেশের সংবিধান

এখন কী হবে?

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলছেন, আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া ‘বেআইনি, অকার্যকর ও বাতিল’ হয়ে গেল।

“সংসদ পঞ্চদশ যে সংশোধনী করেছিল, সেখানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে প্রটেক্ট করা হয়েছিল, সেটা বহাল থাকল।”

এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বক্তব্য দেওয়া এম আমীর উল ইসলামও একই মত প্রকাশ করেছেন। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, “ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় আগের অবস্থা অর্থাৎ সুপ্রিম জুডিশিয়াল ব্যবস্থা বলবত আছে বলে ধরে নিতে হবে।”

এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “আমার মতে, যে সংবিধান সংসদ বাতিল করেছে, সেটা আপনা-আপনি পুনর্বহাল হবে না। আমার মতে, এই পরিস্থিতিতে শূন্যতা বিরাজ করছে। সংসদের কাজ তো আর আদালত করতে পারে না।” 

এই রায়ে সরকার ও প্রশাসনের কাজে কোনো প্রভাব পরবে কিনা জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “সরকার চলে শাসনতন্ত্র অনুযায়ী। এখন দেখা যাক, বিচারপতিদের অপসারণের ব্যাপারে কী পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়…।”

এই রায়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হল কি না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “রায়ে তো উনারা (আপিল বিভাগ) শুধু একটা কথা বলেছেন, শুধু ঘোষণাটাই দিয়েছেন যে, আপিলটা খারিজ করেছেন। আমার মনে হয় পূর্ণাঙ্গ রায়টা যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না পড়ি, ততক্ষণ পর্যন্ত এ কথার জবাব দেওয়া যাবে না।”

আপিল বিভাগের রায়ের পর সংসদে নতুন কোনো বিল আনার চিন্তাভাবনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, “আজকেই এই প্রশ্ন না করে আমি তো বললাম পূর্ণাঙ্গ রায় না পেয়ে আমরা কোনো কথা বলব না।”

এই রায়ের কারণে কোনো সমস্যা হবে কি না- এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, “কোনো সমস্যা হবে না। তার কারণ হচ্ছে এটা আগেও চলছিল। … কিন্তু এটা ঠিক যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের যে ৯৬ নম্বর অনুচ্ছেদ, সেটা সংসদ বাতিল করে দিয়েছে; সো এখন যেটা হবে সেটা ভিন্নতর কিছু একটা হবে।”

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বিচার বিভাগের অভিশংসন অতীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে ছিল এবং কোনো রকমের বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবগুলো মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে, আইনের শাসনের কথা চিন্তা করে এবং বিচার বিভাগের কথা চিন্তা করে নেওয়া হয়েছে।”

‘এক্সপাঞ্জ’

মনজিল মোরসেদ জানান, আপিল বিভাগের শুনানিতে হাই কোর্টের রায়ের কিছু শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন অধিকাংশ অ্যামিকাস কিউরি।

“আপিল খারিজ হওয়ায় যেটা দাঁড়ায়, হাই কোর্টের রায় বহাল হয়ে যায়। কিন্তু কিছু শব্দের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন অ্যামিকাস কিউরিরা। আদালত বলেছেন, সেগুলো তারা এক্সপাঞ্জ করে দেবেন। কোন কোন বিষয় এক্সপাঞ্জ করেছেন, সে বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর জানা যাবে।” 

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে বলেন, “বাদ দেওয়াই উচিৎ। কারণ সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে যে সমস্ত বক্তব্য হাই কোর্ট দিয়েছিল, সেটা খুবই আপত্তিকর।”