মগবাজার ফ্লাইওভারের সোনারগাঁও দুয়ার খুলল

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণের তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 06:17 AM
Updated : 26 Oct 2017, 05:26 AM

বেইলি রোডের দিক দিয়ে যেসব গাড়ি মগবাজার হয়ে এই ফ্লাইওভারে উঠবে, সেসব গাড়ি এই র‌্যাম্প দিয়ে নেমে কারওয়ান বাজারের দিকে যেতে পারবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বুধবার সকালে এই র‌্যাম্পের উদ্বোধন করার পরপরই ওই পথে যান চলাচল শুরু হয়।

মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের প্রাথমিক নকশায় ওই র‌্যাম্পটি এফডিসি রেলক্রসিংয়ে নামার কথা ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি রেললাইনের উপর দিয়ে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জানান, ফ্লাইওভারের এ অংশের দৈর্ঘ্য ৪৫০ মিটার। এতে দুটি লেইন। বর্ধিত এ অংশের নির্মাণে ফ্লাইওভারের ব্যয় বেড়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে যখন এই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর পর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।

ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে হচ্ছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।

২০১৬ সালের ৩০ মার্চ এ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেন।

ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের র‌্যাম্প খুলে দেওয়ার পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সংবাদিকদের বলেন, এ বছর জুনের মধ্যেই মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

“রাজারবাগ-মৌচাক-শান্তিনগর-মালিবাগ অংশের কাজ প্রায় শেষ। আশা করছি জুনেই এটা চালু করব। মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভার হলে যানজট কমবে, মানুষের ‍দুর্ভোগও লাঘব হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বার বার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো ‘অস্বাভাবিকতা নেই’। অতিরিক্ত কোনো খরচও এখানে হয়নি।