বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) মাহবুবে রব্বানীকে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়েছে বলে তিনি নিজেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
কমিটির মেয়াদ তিন মাস। এ সময়ের মধ্যে কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় সিটিং সার্ভিসের প্রয়োজন আছে কিনা তা জানবে। এরপর তাদের মতামত দেবে।
কমিটির দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে বিআরটিএ পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বলে জানান মাহবুবে রব্বানী।
তিনি বলেন, কমিটিতে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির একজন করে প্রতিনিধি ছাড়াও বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক, সাংবাদিক ও সুশীর সমাজের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।
বিআরটিএর দেওয়া রুট পারমিটে সিটিং বাস চালানোর বৈধতা না থাকলেও রাজধানীতে বহু দিন ধরেই চলছে এই ধরনের বাস। এই বাসের ভাড়া বেশি রাখা হলেও সেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ বরাবরই ছিল।
বাস মালিকরা গত ১৬ এপ্রিল থেকে সিটিং সার্ভিসের বাস চালানো বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।
এতে অনেক বাস মালিক সড়কে গাড়ি না নামালে দেখা দেয় পরিবহন সঙ্কট। ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের বচসার মধ্যে বাস সঙ্কটের দুর্ভোগ চলে কয়েকদিন।
এ অবস্থায় ১৯ এপ্রিল বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিআরটিএ।
সে সময় থেকে ১৫ দিন সিটিং সার্ভিস চলতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে এসব বাসে সরকার নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছিল বিআরটিএ।
বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন সিটিং সার্ভিস নিয়ে একটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সমাধান খোঁজা হচ্ছে।
মেট্রোরেল প্রকেল্পর একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর তিনিও এই কমিটির কথা বলেছেন।
কাদের বলেন, “আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি, স্টেক হোল্ডারদের সাথে কথা হচ্ছে, কোনো প্রকার চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়, সাংবাদিক প্রতিনিধিও আলোচনার এ কমিটিতে রয়েছে, সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কিছুদিন স্থগিত রেখে একটি বিষদ আলোচনা করে একটি যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত সমাধান যাতে হয় সে ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।”