কুমিল্লা ভোট: সীমার সন্তোষ, সাক্কুর অভিযোগ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা নিজের ভোট দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী গত মেয়াদের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2017, 05:44 AM
Updated : 30 March 2017, 03:23 PM

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে এ নির্বাচনী এলাকার ১০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে ভোটারদের দীর্ঘ সারি।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কুমিল্লা মর্ডান স্কুলে ভোট দিতে আসেন আওয়ামী লীগের মেয়র পার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। ভোট দেওয়া শেষে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

“আমি সকালে বেরিয়েছিলাম, বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম- সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করেছে। আশা করি দিনের বাকি অংশেও এ পরিবেশ থাকবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ৪৬ বছর বয়সী সীমা বলেন, “কর্মীদের উদ্দেশে আমি বলব, জয় পরাজয় থাকবেই, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব, এবং তারাও মেনে নেবেন।”

নারী ভোটারদের সংখ্যা বেশি থাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সবাইকে কেন্দ্রে এসে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান কুমিল্লার প্রভাবশালী আফজল পরিবারের মেয়ে সীমা।

তার বাবা আফজল খান ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন।

গত পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করা সাক্কু এবারও বিএনপির প্রার্থী। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে হোচ্ছা মিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন ৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সাক্কু বলেন, “একটি কেন্দ্রে আগে থেকেই সব ব্যালটে সিল দিয়ে রাখা হয়েছে, দুইটি কেন্দ্রে আমার কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।”

প্রথম ঘণ্টায় ভোট ‘সুষ্ঠু হয়নি’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। নির্বাচন এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নয়।”

এই অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সদর দক্ষিণ বিএনপির এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সরে যাব কেন, রেজাল্ট দেখি।”

এই সিটি করপোরেশনে নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন ২ লাখের বেশি ভোটার; একে সাবেক সচিব কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের আস্থা তৈরির পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।