মঙ্গলবার থেকে এই নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন।
“মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে প্রচারণা। যেহেতু সীমিত সংখ্যক ভোটার, সেহেতু আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি তদারকিতে সুবিধা হবে। ভোট হবে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। সেজন্য সংশ্লিষ্ট ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।”
২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পরিষদে স্থাপিত ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রে ভোট চলবে।
এবারই প্রথম জেলা পরিষদে ভোট হচ্ছে। সাধারণত সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে সকাল৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ জেলায় চেয়ারম্যান পদের জন্য কোনো ভোট হচ্ছেনা। এসব জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ্যেও বাকি ৩৯ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৪ জন প্রার্থী। অর্থাৎ এসব জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
সাধারণ সদস্য পদে ২৯৮৬ জন ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে ৮০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন।
প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভোট দেবেন।
জেলা পরিষদে মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন ও নারী ১৪ হাজার ৮০০ জন।