২২ জেলা পরিষদে আ. লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ জেলায় চেয়ারম‌্যান পদের জন‌্য কোনো ভোট হচ্ছে না।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2016, 05:34 PM
Updated : 11 Dec 2016, 05:36 PM

এসব জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ‌্যেও বাকি ৩৯ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৪ জন প্রার্থী। অর্থাৎ এসব জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের বিদ্রোহীদের চ‌্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই শুধু ভোট দেবেন।

এভাবে নির্বাচন সংবিধানের মূল চেতনা পরিপন্থি দাবি করে ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। অধিকাংশ ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় ক্ষমতাসীনরা পদে আছে বলে জাতীয় পার্টিও এই ভোটকে ‘মূল‌্যহীন’ মনে করছে।

রোববার ছিল এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত‌্যাহারের শেষ দিন। এরপর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানান নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন পার্বত‌্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় চেয়ারম‌্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ১৪৬ জন।

“এর মধ‌্যে ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন একক প্রার্থীরা। বাকি ৩৯ জেলায় চেয়ারম‌্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১২৪ জন।”

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- নারায়ণঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।

শনিবার নির্বাচন কমিশনের আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, ৩৬ জেলায় ৭৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা রয়েছে।

জেলা পরিষদের ভোটারদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সবার চোখ কান খোলা রাখতে বলা হয় বৈঠকে।

সাধারণ সদস‌্য পদে ২৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত (নারী) সদস‌্য পদে ৮০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস‌্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস‌্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে শুরু হবে এই নির্বাচনের প্রচার। ১৫ দিন প্রচার শেষে ভোট দেবেন নির্দিষ্ট ভোটাররা। ভোট চলবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

চেয়ারম‌্যান ছাড়াও প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস‌্য ও পাঁচজন নারী সদস‌্য নির্বাচিত হবেন।

প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভোট দেবেন।

জেলা পরিষদে মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ‌্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন ও নারী ১৪ হাজার ৮০০ জন।