মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা বাবা ও কলেজ শিক্ষিকা মায়ের ছেলে মুবাশ্বের পড়তেন ঢাকার উঁচু স্তরের পরিবারের সন্তানদের স্কুল স্কলাসটিকায়। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বনানী ডিওএইচএসের বাসায়।
সেই ছেলে কীভাবে জঙ্গি হয়ে উঠল তা বুঝে উঠতে পারছেন না বাবা হায়াতুল কবির।
“কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। কিছু একটা গোলমাল হয়েছে,” রয়টার্সকে বলেছেন তিনি।
চার মাস পর সেই মুবাশ্বেরের খোঁজ মেলে গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হাতে ২০ জনের প্রাণহানির পর। হামলার পরদিন আইএসের বরাতে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ সেখানে ‘হামলাকারী’ পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করলে মোবাশ্বেরকে শনাক্ত করেন তার সহপাঠীরা।
পরে ওই ঘটনায় কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিদের ছবি পুলিশ প্রকাশ করলে একজনের সঙ্গে মুবাশ্বেরের চেহারার মিল পাওয়া যায়।
ছেলের এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে হায়াতুল কবির সিএনএনকে বলেন, “এটা ভয়ঙ্কর, অমানবিক, অবিশ্বাস্য। এই হত্যাকাণ্ড কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমি আমার ছেলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাই। এই পৃথিবীতে সে তার শাস্তি পেয়েছে।”
আগে বুঝতে পারলে ছেলেকে এ পথে যেতে দিতেন না দাবি করে তিনি বলেন, “যদি আগে থেকে জানতাম, আমার ছেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে, তাহলে আমি জীবন দিয়ে তা ঠেকাতাম।”
তিনি জানান, মুবাশ্বের নিয়মিত কোরআন পড়ত। সেজন্য ছেলেকে কোরআনের ইংরেজি সংস্করণ কিনে দিয়েছিলেন তিনি।
“মাঝে মাঝে সে বলত, সে অ্যাকাউন্টেন্ট হতে চায়। আবার কখনও কখনও ধর্মতাত্ত্বিক বা সমাজতাত্ত্বিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করত।”
মুবাশ্বের নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত এবং বাসার কাছের মসজিদে যেত বলে জানান তার বাবা।
“এটা আমার ছেলে নয়, এটা আমার ছেলে নয়।”
এর আগে মঙ্গলবার এই হামলার আরেক সন্দেহভাজন রোহান ইবনে ইমতিয়াজের বাবা এস এম ইমতিয়াজ খান (বাবুল) ছেলের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।