নিয়ম অনুযায়ী, মধ্য জুনের আগে গাজীপুরে আর ফিরতে পারছেন না আলোচিত এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ইউপি নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটের আগের দিন শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর এই চিঠি পাঠান ইসি সচিব। সেখানে নির্বাচন বিধির ৮৯ ধারায় ‘কতিপয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বদলি’ সংক্রান্ত ধারা তুলে ধরে ইসির মতামত নেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
তৃতীয় ধাপের ভোটের আগে গত ২১ এপ্রিল গাজীপুরের এসপি হারুন অর রশীদকে ‘সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে’ প্রত্যাহার করে নিতে বলে ইসি। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা কার্যকর করলেও ১৩ দিনের মাথায় ইসির অনুমোদন ছাড়াই ওই কর্মকর্তাকে ফের গাজীপুরে পুনর্বহাল করা হয়।
ছয় ধাপের ভোটের মাঝপথে এসে নির্বাচনী আইন ও বিধি উপেক্ষা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ তৈরি হয় ইসিতে।
কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার এসপির পুনর্বহাল সংক্রান্ত আদেশ আমাদের কাছে এসেছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে ভোটের সময় বদলি সংক্রান্ত বিধানটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্মরণ করিয়ে দিতে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।”
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ৮৯ ধরায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর ১৫ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ কিছু কর্মকর্তাকে ইসির সঙ্গে পরামর্শ না করে বদলি করা যাবে না।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামী ৪ জুন পর্যন্ত গাজীপুর জেলার বিভিন্ন ইউপিতে ভোট রয়েছে। সুতরাং ইসির নির্দেশনা অনুসারে অন্তত ১৯ জুনের আগে এসপি হারুন গাজীপুরে ফিরতে পারবেন না।
তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ভোটের পরে পুনর্বহালের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে ৩ মে এ আদেশ জারি হওয়ায় বিপত্তি ঘটেছে। ভোট কবে শেষ হবে তা কমিশনের কাছেই জানতে চাওয়া দরকার ছিল। গাজীপুরের ভোট শেষে গেজেট প্রকাশের নির্ধারিত সময় পর ওই কর্মকর্তাকে যে কোনো জায়গায় বদলিতে বাধা নেই।”
কয়েক বছর আগে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে হরতালে পিকেটিংয়ের সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের উপর চড়াও হয়ে আলোচনায় উঠেছিলেন তিনি।