তিনি বলেছেন, “তথ্য-প্রযুক্তি আমাদের কাছে আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আমরা তথ্য-প্রযুক্তির সেবা প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।”
আইটিইউ’র দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শনিবার সন্ধ্যায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন সংস্থার মহাসচিব হাউলিন ঝাও।
তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় মোট আটজন এবার আইটিইউ পুরস্কার পেয়েছেন।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে৻ ইতোমধ্যে সেই লক্ষ্যের ‘অনেকটাই’ অর্জিত হয়েছে বলে সরকারের দাবি।
তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার পায় বাংলাদেশের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) প্রকল্প।
তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের অগ্রগতিতে অবদানের জন্য একই বছর ‘পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স’ ক্যাটাগরিতে ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পায় বাংলাদেশ।
শনিবার আইটিইউ’র গালা ডিনারে ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে কাজে হাত দিয়েছি, তার এই গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি এই পুরস্কার।”
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন।
জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনের চেয়ারম্যান স্যাম কুটেসা অনুষ্ঠানে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে দারিদ্রমুক্ত করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ঘোষিত এসডিজি কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তার বিশ্বাস।
অন্যদের মধ্যে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বকোভা, গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেরি ইয়ান, নিউ ইয়র্ক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রেসিডেন্ট এলিস রুবিনস্টাইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।