বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শুনানির এই দিন নির্ধারণ করেন।
একই সঙ্গে বিচারক মামলার তিন আসামির জামিন আবেদনও খারিজ করে দেন বলে জানান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার এই সমন্বয়ক।
গত ৩ অগাস্ট বিকালে টুটপাড়া কবরখানা এলাকায় শরীফ মটর্সে মোটরাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে ১২ বছরের শিশু রাকিব হাওলাদারের মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ মটর্সের মালিক শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরে শরীফের মা বিউটি বেগমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিন আসামি।
এছাড়া জবানবন্দি দেন চার সাক্ষ নাদিম হাসান শাহীন, রবিউল ইসলাম, সুমন ও সেলিম হাওলাদার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক কাজী মোস্তাক আহমেদ ২৫ অগাস্ট খুলনা মহানগর হাকিম মো. ফারুক ইকবালের আদালতে তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৪০ জনকে।
এদিকে মঙ্গলবার আদালত চত্বর থেকে রাকিবের বোন রিনি হাওলাদারকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে আসামি মিন্টু মিয়ার বোন ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- মিন্টুর বোন নার্গিস বেগম (৩২) ও তার স্বামী অবুল কালাম খান (৪৫)।